UMMA TOKEN INVESTOR

About me

Semi Professional Video Editor Previously Multiple award winning Short film maker ExCadet - Mirzapur Cadet College (2013-2019) Development Economics B -20, Dhaka School of Economics, University of Dhk

Ishmum is feeling Happy
3 months Translate
Translation is not possible.

আমার পরিবর্তন

হ্যাঁ, ইসলামী চেতনাটা প্রথম এসেছিল কিছু তুর্কি সিরিজ দেখে। তার আগে নামাজে কালামে ঈদ কুরবানীতে ইসলাম ভাবতাম। অন্য ৫/৬ টা ধর্মের মতোই।

এরপর জীবনে একটা দীশা পেলাম, একটা পথ পেলাম, এই পথেই থাকবো। কিন্তু সিরিজ তো আসলে সম্পূর্ণ ইসলাম না। অনেক গজামিল ইতিহাস ও আছে এখানে। আর সিরিজ আমার সব কিছুর সমাধান দিচ্ছে না।

তখন উপলদ্ধি হলো, পড়তে হবে। জানতে হবে। নামে মুসলিম আমরা, কিন্তু অতীত কিছুই জানি না। বিধান জানি না। Visualisation হয় না। বর্তমানে আটকে থাকি।

যতোই পড়া শুরু করলাম তত ইসলাম চোখের সামনে পূর্ণাঙ্গ রুপ পেলো যেন। অন্যান্য ধর্মের মতন ভাবা বাদ দিলাম, মেনে নিলাম এবং কল্ববে প্রতিষ্ঠিত করলাম, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দ্বীন এবং জীবন ব্যবস্থা। যারাই ইসলাম শব্দের পাশে ধর্ম শব্দটা লাগায় তার কথার বিরোধিতা শুরু করলাম। কারন ইসলামকে ধর্ম বলা রীতিমত নাইনসাফি এবং মূর্খতা!

একসময় তুর্কি ইতিহাস নিয়ে বেশ আগ্রহ থাকলেও, পড়তে গিয়ে বুঝলাম, ওটা পরিপূর্ণ ইসলামকে প্রদর্শন করে না। আরো পেছনে যেতে হবে, আরো আগের ইতিহাস জানতে হবে। বই কেনা শুরু করলাম এজন্য। ঘন ঘন বই। অন্য অনেক কিছুই করতে পারতাম হয়তো, তাও বেহায়ার মতন বই কিনেছি। (যদিও সে হারে পড়া হচ্ছে না, আল্লাহ হায়াত দিলে হয়তো ইংশা আল্লাহ পড়তে পারবো সব।)

সকল পশ্চিমা নোংরামি, পশ্চিমা মতবাদ, কলকাতা কেন্দ্রিক বাঙালিয়ানা, হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি, পশ্চিমা বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে যখন ইসলামকে আঁকড়ে ধরে পড়তে বসবেন মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস, রঙিন দুনিয়া থেকে ততোই অতীতের প্রতি আকর্ষণ নেশা বাড়তে থাকবে।

ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে অসম্পূর্ণ কথা বলাকে অপছন্দ করা শুরু করবেন ❤️

মুহাম্মদ (সা:) কে খালি একজন রাসূল নয়, অন্য দৃষ্টিতে দেখতে পারবেন, দেখতে পাবেন যেমন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকারী তেমনি জি হা দের ময়দানে শক্তিশালী কমান্ডার হিসেবে। দেখতে পাবেন একজন ইনসাফ কারী স্বামী, দেখতে পাবেন বয়সে বড়

খাদিজা (রা:) এর আমৃত্যু প্রেমিককে।

একসময় ইসলামের পাথর মারা, হত্যার শাস্তি যখন মানবতার নোংরা মতবাদে এবং লেন্সে খারাপ লাগতো, আপনি ইসলাম যতো জানবেন, কওমে লূত সম্পর্কে জানবেন, বোধগম্য হবে কতোটা বৈধ কতোটা যুক্তিযুক্ত শাস্তি এগুলো।

আপনি তরুণ যুবক বা যুবতী? আশেপাশের যেনা ব্যভিচার, প্রেম নারী পুরুষের সম্পর্ক আপনার দ্বীন ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক?

আপনি জানেন ই না ইসলাম কতোটা eagerly চায় আপনি বিয়ে করুন, জানেনই না আল্লাহ কতোটা চান তার বান্দারা তার প্রদর্শিত নিয়ম কানুন অনুযায়ী বিয়ে করুক। তিনি জানেন আপনার আমার চাহিদা, জানেন আপনার সঙ্গীর অভাব, এজন্য অন্যান্য ধর্ম ব্যবস্থার মতন ফালতু নিয়ম কানুন না রেখে সহজে দুইজন বিয়ে করতে পারবেন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তার সন্তুষ্টির জন্য বিবাহ করলে রিজিকের দায়িত্ব নিজ জিম্মায় নিয়েছেন ❤️

একই ভাবে বিয়ে যেমন সহজ করেছেন, তেমনি বিবাহ বিচ্ছেদকে জটিল করেছেন।

অথচ আজকাল মেয়েরা হালকা mood swing হলেই relation এ break up করে ।

একবিংশ শতাব্দীতে থেকেও, বদরের সাহসিকতায়, বাগদাদের মুসলিম উন্নয়ন এবং পতন, খলিফা আবদুল হামিদ (রহ:) এর আত্ম ত্যাগ আপনাকে কাঁদাবে।

অথচ একসময়ে জাতীয়তাবাদের বিষে বিষাক্ত আপনি মুক্তিযুদ্ধের corrupted চেতনায় আবেগে আপ্লুত হয়ে অর্থহীন কান্না করতেন।

আবার!

নবীজি (সা:) এর তায়েফে পাথরের বাড়ি খেয়ে জুতা মোবারক রক্তে ভরে যাওয়া আপনাকে কাঁদায় না, কিন্তু আমার বন্ধু রাশেদে জাতীয়তাবাদের নামে রাশেদকে মেরে ফেললে ( অথচ এই গল্প কাল্পনিক) আপনি সিনেমা হলে কান্না করে ভাসিয়ে দেন!!

তাহলে আপনি বাঙালি হতে পেরেছেন হয়তো, মুসলিম হতে পারেন নাই।

ইতিহাস জানতে চান না, কিন্তু কোনো রকম লজিক ছাড়াই পাকিস্তানের প্রত্যেকটা মানুষকে ঘৃনা করেন, আপনি হিন্দু না, মুসলিম! তাও আপনার কোনো লজিক ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে অবশ্যই পাকিস্তানকে ঘৃণা করা লাগবে!

প্রগতির নামে ইসলাম ই ইমারাত আফগানিস্তানকে, তালেবানকে ঘৃণা করা লাগবে!

আপনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে খালি সুভাষচন্দ্র, মঙ্গল পান্ডে, প্রীতিলতা বা ক্ষুদিরামকে জানবেন। অথচ জানবেন না এই আন্দোলন কারা শুরু করেছিল, কারা জি হা দ শুরু করেছিল! মাওলানা আহমাদুল্লাহ শাহ কিভাবে পুরো ভারতকে জাগিয়ে তুলছিল!

পড়ুন পড়ুন। ইসলাম সম্পর্কে জানুন, সময় দিন।

আপনার কলকাতা কেন্দ্রিক হিন্দুয়ানী বাঙালিয়ানা, মানবতা বোধ, সম্প্রীতির ভ্রান্তি, পশ্চিমা বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব ইত্যাদি কোনো কাজে আসবে না কবরে।

সেখানে বাঁচার উপায় আল্লাহর সম্পূর্ণ আনুগত্য তথা ইসলামে আত্মসমর্পণ।

Mufti Menk টাইপ moderate সব দিকে মানায় চলা, compromise করা ইসলাম, ইসলাম নয়। বিকৃতি।

বিকৃতি থেকে যতো তাড়াতাড়ি বের হতে পারবেন। তত আপনার জন্য উত্তম ❤️

ক্যাডেট কলেজে বঙ্গবন্ধুর চেতনাময় documentary দেখে কান্না করা থেকে নবীজি (সা:) এর উম্মাহর প্রতি আত্মত্যাগ পড়ে আবেগে কান্না করা - এই transition এর জন্য আল্লাহর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ❤️

জাজাকমুল্লাহ খাইরান ।

Facebook Page : https://www.facebook.com/ishmum.official

YouTube Channel : https://www.youtube.com/Ishmum.official

Telegram Channel : https://t.me/Ishmumtelegram

Hushapp :

https://hushup.app/ishmum-naoar

Portfolio Website :

https://t.ly/EtE_T

#ishmum #bangladesh #islamicbangladesh #riseofislam

Send as a message
Share on my page
Share in the group
1 day Translate
Translation is not possible.

খাইরুল কুরুনের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি সামগ্রিকতার বিচারে হাদীস, আছার ও ইতিহাসের আলোকে প্রমাণিত। তবে সে সময়ও মুনাফিক, ফুজ্জার এবং দ্বীনবিমুখ মানুষের উপস্থিতি ছিল। যাদের সংখ্যা নেককারদের তুলনায় ছিল নগণ্য। তবে খাইরুল কুরুনের শেষ দিকে মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। হাফেজ ইবনু হাজার রহ. লেখেন, 'এ সময় ব্যাপকভাবে বিদআত প্রকাশ পেতে শুরু করে। একদিকে মুতাযিলারা কথা বলতে শুরু করে। অপরদিকে দার্শনিকরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আহলে ইলমদের ওপর 'কুরআনের নশ্বরতা'র পক্ষে বক্তব্য দিতে নির্যাতন চলতে থাকে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বিগড়ে যায়।

বই: সালাফের জীবন থেকে - ০১

লেখক: মাওলানা ইমরান রাইহান

উমেদ প্রকাশ Umed Prokash

#ishmumsbookcut

Send as a message
Share on my page
Share in the group
2 day Translate
Translation is not possible.

"মাশহুর তথা বিখ্যাত হওয়ার জন্য কাজ করো না, বরং তোমার নেক কাজগুলোকে সেভাবেই লুকিয়ে রাখো, যেভাবে তুমি তোমার খারাপ কাজগুলোকে লুকিয়ে রাখো!"

.

--- ইমাম বিশর বিন আল-হারিস রাহিমাহুল্লাহ।

--- [সিয়ারু আলামীন্ আন-নুবালাঃ ১০/৪৭৬]।

সংগৃহীত

Send as a message
Share on my page
Share in the group
3 day Translate
Translation is not possible.

নবীজীর যুগ থেকে নিয়ে ৪০০ হিজরী পর্যন্ত সময়টাকে বলা হয় হাদীসশাস্ত্রের সোনালি যুগ। প্রথম শতাব্দীতে মৌলিকভাবে হাদীসের দরসের সংখ্যা ছিল অগণিত। মক্কা, মদীনা, কুফা, বসরা ও বাগদাদ ছিল ইলমে হাদীসের প্রাণকেন্দ্র। প্রতিটি মসজিদ ও মহল্লায় মুহাদ্দিসদের দরসের হালাকা বসত। বিশেষ করে কুফায় আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর ছাত্রদের মজলিস ছিল জমজমাট। শত শত মানুষ সেখানে নবীজীর হাদীস শুনতেন এবং মুখস্থ করতেন। কেউ কেউ খাতায় লিখে রাখতেন। অর্থাৎ, অনানুষ্ঠানিকভাবে, ব্যক্তিগত পরিসরে সংকলনের কাজ চলতে থাকে।

বই: সালাফের জীবন থেকে - ০১

লেখক: মাওলানা ইমরান রাইহান

উমেদ প্রকাশ Umed Prokash

#ishmumsbookcut

Send as a message
Share on my page
Share in the group
4 day Translate
Translation is not possible.

#copiedpost

আমরা চাইলে সময় অপচয়, চিন্তা অপচয় রোধ করতে পারি একটা ফর্মুলা অবলম্বন করে।

সেটা হলো- circle of concern vs circle of influence এই দুটো বুঝে।

কোনটা আপনার কাছে 'চিন্তার বিষয়' আর কোনটা আপনার 'সাধ্যের মধ্যে' এই দুটো বুঝতে পারলে জীবনে অনেক কাজ সহজে করতে পারবেন।

আপনি আর্লি ম্যারেজ করতে চান। কিন্তু, পরিবার মানছে না, কোনো বাবা-মা আপনার কাছে বিয়ে দিতে রাজি না। কারণ, আপনি এখনো বেকার। একটাকাও উপার্জন করেন না।

সবাইকে বুঝানো আপনার পক্ষে সম্ভব না। মা-বাবাকে বুঝানো কঠিন। আর অপরিচিত একটা পরিবারকে বুঝানো আরো কঠিন।

অন্যদের কারণে কেনো বিয়ে করতে পারছেন না এটা হলো 'সার্কেল অব কনসার্ন'। এটা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই।

আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে উপার্জনের চেষ্টা করা। চাকরি লাভের জন্য পড়াশোনা বা ভালো সিভি বানানো, খোঁজখবর নেয়া।

এই ফর্মুলা বলে- আপনি 'সার্কেল অব ইনফলুয়েন্স' নিয়ে কাজ করুন। চিন্তা করুন, আপনি নিজে কী করতে পারবেন।

ঢাকা শহরে জ্যাম নিরসন করা যায় কীভাবে এই নিয়ে আপনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এগুলো করতে গিয়ে অফিসে লেইটে যান, ক্লাসে লেইটে যান। অথচ আপনার এসব স্ট্যাটাস নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছায়ও না।

আপনার 'সার্কেল অব ইনফ্লুয়েন্স' ছিলো সময়মতো পৌঁছানোর। প্রয়োজনে ২০ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হওয়া। তা না করে আপনি কেবল 'সার্কেল অব কনসার্ন' নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

আমরা আমাদের জীবনী যতো বেশি সার্কেল অব ইনফ্লুয়েন্সে 'ফোকাস' দিতে পারবো, কাজে সময় বেশি দিয়ে অকাজে সময় কম দিতে পারবো, ততো উন্নতি করতে পারবো।

'অমুক নায়িকা পর্দা করে না কেনো' এটা সার্কেল অব কনসার্ন। এই হা-হুতাশ কোনো কাজে আসবে না।

যেটা কাজে আসবে, যা সার্কেল অব ইনফ্লুয়েন্স হলো- নিজের চোখের পর্দা, পোশাকের পর্দা ঠিক করা এবং আশেপাশের মানুষ, যারা আপনার কথা শুনে-শুনবে, তাদেরকে পর্দা করার পরামর্শ দেয়া।

Send as a message
Share on my page
Share in the group
4 day Translate
Translation is not possible.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ফিকহী ইজতিহাদের কোনো প্রয়োজন ছিল না। যেকোনো সমস্যায় সরাসরি নবীজী মাসআলা বলে দিতেন। যেটুকু ইজতিহাদের ইতিহাস পাওয়া যায়, তাও বিভিন্ন সফরের ঘটনা। পরে সাহাবীগণ নবীজীকে জিজ্ঞাসা করে সঠিক সমাধান জেনে নিতেন।

সাহাবীদের যুগে যখন মুসলিম সাম্রাজ্যের পরিধি বাড়তে থাকে, তখন বিভিন্ন উদ্ভূত পরিস্থিতি সামনে আসতে থাকে। এর ফলে ইজতিহাদের প্রয়োজন দেখা দেয়। কুরআনের আয়াত ও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের আলোকে তাঁরা ইজতিহাদ করতে থাকেন। প্রথমে তাঁরা কুরআনের আয়াতে সমাধান খুঁজতেন। এরপর হাদীসে অনুসন্ধান করতেন। এই দুই মারহালা পেরিয়ে কুরআন ও হাদীসের আলোকে মাসআলা উদ্ঘাটন করতেন। তাঁদের এই কর্মপন্থা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় স্বীকৃতি দিয়ে যান। যার বিবরণ মুয়াজ ইবনু জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়েমেনে পাঠানোর হাদীসে পাওয়া যায়।

বই: সালাফের জীবন থেকে - ০১

লেখক: মাওলানা ইমরান রাইহান

উমেদ প্রকাশ Umed Prokash

#ishmumsbookcut

Send as a message
Share on my page
Share in the group