ইস্তিবরা করার জন্য ক্যাডেট কলেজে ৬ বছর কি পরিমাণ টিজ যে খাইসি এর জন্য এটা এক আল্লাহ ই ভালো জানেন। ইস্তিবরা করার সময় অন্যান্য ক্যাডেটদের দরজা লাথি মেরে খোলার চেষ্টা! সারাক্ষণ washroom এর মধ্যে ৪০ কদম জলদি চল করি বলে অপবাদ দেওয়া ( যদিও কখনো করিনি ৪০ কদম) ইত্যাদি নানাবিধ অপমান অপযস্ত টিজ ফেস করেছি ক্যাডেট কলেজে...
ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে থেকেই আমার এই বুঝ ছিল, তাই ক্যাডেট কলেজে ইস্তিবরা করার কারনে সব সময় লোক কমোডে জরুরত সাড়তে হতো এবং এই প্রসেসে একটু সময় লাগতো স্বাভাবিক ভাবেই, যেখানে অন্যান্য ক্যাডেট রা pee stand এ করে, না ধুয়েই জরুরত সাড়তো। আমার ঘৃণা লাগতো যে সারাদিন যে খাকি বা কাপড় পড়ে থাকবো সেটাতে ইউরিন লেগে থাকবে আর সেটা পরে সারাক্ষণ থাকবো এটা কেমনে মেনে নিব?
কিন্তু এ প্রসেস এবং washroom এ সময় লাগার কারনে ক্যাডেট, জুনিয়র এমনকি টিচারদের কাছেও কথা শুনেছি, ৬ বছর রীতিমত কি পরিমাণ টিজ যে খাইসি এর জন্য এটা এক আল্লাহ ই ভালো জানেন। ইস্তিবরা করার সময় অন্যান্য ক্যাডেটদের দরজা লাথি মেরে খোলার চেষ্টা! সারাক্ষণ washroom এর মধ্যে ৪০ কদম জলদি করি বলে অপবাদ দেওয়া ( যদিও কখনো করিনি ৪০ কদম) ইত্যাদি নানাবিধ অপমান অপযস্ত টিজ ফেস করেছি ক্যাডেট কলেজে...
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সময়ে তাও লো কমোড ছিল, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ প্রশাসন কেন যেন ক্যাডেটদের পরিপূর্ণ শারীরিক পবিত্রতা রক্ষা করতে দিতে চায় না, ক্যাডেটের আরো সেকুলার, western এবং নাপাক থাকার সম্ভবনা ষকে আরো বাড়াতে washroom renovation করে সব লো কমোড সরিয়ে হাই কমোড করেছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে যতটুকু দেখেছি। কলেজে থাকতে হাই কমোড ঘৃণা লাগতো, চরম জরুরত না হলে কখনো ব্যবহার করতাম না, কষ্ট করে হলেও ৬ বছর যতটুকু পারি লো কমোড ব্যবহার করেছি...
যারা হাহা দিবেন তাদের জন্য নিম্নের লেখা গুলো পাঠ্য...
ইবনু আব্বাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীজী এমন দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দুটির বাসিন্দাদের আযাব দেয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দুজনকে আযাব দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেয়া হচ্ছে না (যা হতে বিরত থাকা) দুরূহ ছিল। তাদের একজন প্রস্রাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না, আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত
সহীহ বুখারী- ১৩৬১
রাসূল (সা:) আরও বলেন, "তোমরা প্রস্রাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন করো। কারণ, অধিকাংশ কবরের আযাব এই প্রস্রাবথেকে সাবধান না হওয়ার ফলেই হয়ে থাকে।
সুনানে দারাকুতনী- ১/৩১১, হাদীস- ৪৪৮
হাই কমোডে মলমূত্র ত্যাগ করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং পূর্ণভাবে সুন্নাহ আদায় হয় না। তাই বিনা ওযরে হাই কমোড ব্যবহার করা অনেকে মাকরুহ বলেছেন। নেহায়েত মা\'য়ূর না হলে সুন্নাহকে যথাসম্ভব আঁকড়ে ধরার মাঝেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা। [জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল- ১/৫৭]
তবে যদি প্রস্রাব-পায়খানার জরুরত মিটানোর জন্য হাই কমোডের তাৎক্ষণিক বিকল্প না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে হাই কমোড ব্যবহার করা যাবে।
[রদ্দুল মুহতার- ১/৩১; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫০]
উল্লেখ থাকে যে, হাই কমোড ব্যবহারের সময় যদি নাপাক পানির ছিটা শরীরের কোনো অঙ্গে লাগে তাহলে সেই অঙ্গ অবশ্যই ধৌত করে নিতে হবে।
বই: মুহসিনীন - উত্তম পুরুষদের পাঠশালায়
Inbaat Publication
#ishmumsbookcut
ইস্তিবরা করার জন্য ক্যাডেট কলেজে ৬ বছর কি পরিমাণ টিজ যে খাইসি এর জন্য এটা এক আল্লাহ ই ভালো জানেন। ইস্তিবরা করার সময় অন্যান্য ক্যাডেটদের দরজা লাথি মেরে খোলার চেষ্টা! সারাক্ষণ washroom এর মধ্যে ৪০ কদম জলদি চল করি বলে অপবাদ দেওয়া ( যদিও কখনো করিনি ৪০ কদম) ইত্যাদি নানাবিধ অপমান অপযস্ত টিজ ফেস করেছি ক্যাডেট কলেজে...
ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগে থেকেই আমার এই বুঝ ছিল, তাই ক্যাডেট কলেজে ইস্তিবরা করার কারনে সব সময় লোক কমোডে জরুরত সাড়তে হতো এবং এই প্রসেসে একটু সময় লাগতো স্বাভাবিক ভাবেই, যেখানে অন্যান্য ক্যাডেট রা pee stand এ করে, না ধুয়েই জরুরত সাড়তো। আমার ঘৃণা লাগতো যে সারাদিন যে খাকি বা কাপড় পড়ে থাকবো সেটাতে ইউরিন লেগে থাকবে আর সেটা পরে সারাক্ষণ থাকবো এটা কেমনে মেনে নিব?
কিন্তু এ প্রসেস এবং washroom এ সময় লাগার কারনে ক্যাডেট, জুনিয়র এমনকি টিচারদের কাছেও কথা শুনেছি, ৬ বছর রীতিমত কি পরিমাণ টিজ যে খাইসি এর জন্য এটা এক আল্লাহ ই ভালো জানেন। ইস্তিবরা করার সময় অন্যান্য ক্যাডেটদের দরজা লাথি মেরে খোলার চেষ্টা! সারাক্ষণ washroom এর মধ্যে ৪০ কদম জলদি করি বলে অপবাদ দেওয়া ( যদিও কখনো করিনি ৪০ কদম) ইত্যাদি নানাবিধ অপমান অপযস্ত টিজ ফেস করেছি ক্যাডেট কলেজে...
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সময়ে তাও লো কমোড ছিল, কিন্তু ক্যাডেট কলেজ প্রশাসন কেন যেন ক্যাডেটদের পরিপূর্ণ শারীরিক পবিত্রতা রক্ষা করতে দিতে চায় না, ক্যাডেটের আরো সেকুলার, western এবং নাপাক থাকার সম্ভবনা ষকে আরো বাড়াতে washroom renovation করে সব লো কমোড সরিয়ে হাই কমোড করেছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে যতটুকু দেখেছি। কলেজে থাকতে হাই কমোড ঘৃণা লাগতো, চরম জরুরত না হলে কখনো ব্যবহার করতাম না, কষ্ট করে হলেও ৬ বছর যতটুকু পারি লো কমোড ব্যবহার করেছি...
যারা হাহা দিবেন তাদের জন্য নিম্নের লেখা গুলো পাঠ্য...
ইবনু আব্বাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীজী এমন দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দুটির বাসিন্দাদের আযাব দেয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দুজনকে আযাব দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেয়া হচ্ছে না (যা হতে বিরত থাকা) দুরূহ ছিল। তাদের একজন প্রস্রাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না, আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত
সহীহ বুখারী- ১৩৬১
রাসূল (সা:) আরও বলেন, "তোমরা প্রস্রাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন করো। কারণ, অধিকাংশ কবরের আযাব এই প্রস্রাবথেকে সাবধান না হওয়ার ফলেই হয়ে থাকে।
সুনানে দারাকুতনী- ১/৩১১, হাদীস- ৪৪৮
হাই কমোডে মলমূত্র ত্যাগ করতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং পূর্ণভাবে সুন্নাহ আদায় হয় না। তাই বিনা ওযরে হাই কমোড ব্যবহার করা অনেকে মাকরুহ বলেছেন। নেহায়েত মা'য়ূর না হলে সুন্নাহকে যথাসম্ভব আঁকড়ে ধরার মাঝেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা। [জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল- ১/৫৭]
তবে যদি প্রস্রাব-পায়খানার জরুরত মিটানোর জন্য হাই কমোডের তাৎক্ষণিক বিকল্প না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে হাই কমোড ব্যবহার করা যাবে।
[রদ্দুল মুহতার- ১/৩১; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫০]
উল্লেখ থাকে যে, হাই কমোড ব্যবহারের সময় যদি নাপাক পানির ছিটা শরীরের কোনো অঙ্গে লাগে তাহলে সেই অঙ্গ অবশ্যই ধৌত করে নিতে হবে।
বই: মুহসিনীন - উত্তম পুরুষদের পাঠশালায়
Inbaat Publication