তাবলীগ জামাতের সূচনা হয় ১৯২৬ অথবা ১৯২৭ সালের দিকে উত্তর ভারতের মেওয়াত নামের জায়গা থেকে। মেওয়াত, হরিয়ানা আর রাজস্থান রাজ্যের মধ্যে পড়েছে।
তাবলিগ জামাতের এই ধারণাটা আসে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের মাথা থেকে। তিনি ছিলেন উত্তর ভারতের শাহরানপুরের মাযহারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক। তার পড়াশোনা ছিল দেওবন্দ মাদরাসায়।
ব্রিটিশদের হাতে মোগলদের পরাজয়ের ভিতর দিয়ে মূলত মুসলিমরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে। এটা শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতাহীনতাই ছিল না, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীনতাও ছিল। চরম হতাশা পেয়ে বসেছিল সেই সময়ের মুসলিমদের মধ্য। পাশাপাশি হিন্দুদের মধ্যে এক ধরনের পুনর্জাগরণ শুরু হয়। যেহেতু মুসলিমদের সাথে শত্রুতা আর যুদ্ধ করে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখল করেছে, তাই স্বভাবতই হিন্দুরা দ্রুত ব্রিটিশ রাজশক্তির সমীহ অনুগ্রহ আর কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়, তারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তখনকার হিন্দুরা এতই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে তারা মুসলমানদেরকে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য দুটি গ্রুপ তৈরি করে, তাদের নাম \'শুদ্ধি\' আর \'সংগঠন\'। এরা এদের কার্যক্রমকে আন্দোলনে রূপ দেয়। শুদ্ধি আন্দোলনের কাজ ছিল ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দুধর্মের পুনর্জাগরণ ঘটানো আর যে সব মুসলিমরা হিন্দুধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছে তাদের আবার হিন্দু বানানো।
মেওয়াতে রাজপুত সম্প্রদায় থেকে যারা মুসলিম হয়েছিল তাদের বলা হতো মিওয়ো, শুদ্ধি আন্দোলনকারীরা তাদের অনেককে আবার হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনে, কারণ সেই সব ধর্মান্তরিত মুসলিমদের বদ্ধমূল ইমানী জ্ঞান লাভ হয়নি। অন্যদিকে ইউরোপ থেকে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে খ্রিষ্টান মিশনারী আর পাদ্রিরা। তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান বানানোর জন্য।
সেই সময় মাওলানা ইলিয়াস \'তাহরিকে ইমান\' বা \'ইমানের পথ\' নামে এক আন্দোলন শুরু করে। প্রথমে মেওয়াতে, তার কিছুদিন পর তিনি তার মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনে নিয়ে। আসেন। তার আন্দোলনের স্লোগান ছিল, “অ্যায় মুসলমান, মুসলমান বনো\" অর্থাৎ হে মুসলমানেরা মুসলিম হও। তার সেই দাওয়াতে দ্রুত সাড়া পড়ে যায়। মাত্র ১৫ বছর পর ১৯৪১ সালের নভেম্বরে যে এজতেমা হয় সেখানে যোগ দেয় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সময় ২৫ হাজার একটা বিরাট সংখ্যা। তখন মাওলানা ইলিয়াসের সেই আন্দোলন ইমান এবং আমল ভিত্তিক প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের আন্দোলনে রূপ নেয়।\'
বই: আসমান
লেখক: লতিফুর রহমান শিবলী
#ishmumsbookcut
তাবলীগ জামাতের সূচনা হয় ১৯২৬ অথবা ১৯২৭ সালের দিকে উত্তর ভারতের মেওয়াত নামের জায়গা থেকে। মেওয়াত, হরিয়ানা আর রাজস্থান রাজ্যের মধ্যে পড়েছে।
তাবলিগ জামাতের এই ধারণাটা আসে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের মাথা থেকে। তিনি ছিলেন উত্তর ভারতের শাহরানপুরের মাযহারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক। তার পড়াশোনা ছিল দেওবন্দ মাদরাসায়।
ব্রিটিশদের হাতে মোগলদের পরাজয়ের ভিতর দিয়ে মূলত মুসলিমরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে। এটা শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতাহীনতাই ছিল না, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাহীনতাও ছিল। চরম হতাশা পেয়ে বসেছিল সেই সময়ের মুসলিমদের মধ্য। পাশাপাশি হিন্দুদের মধ্যে এক ধরনের পুনর্জাগরণ শুরু হয়। যেহেতু মুসলিমদের সাথে শত্রুতা আর যুদ্ধ করে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের ক্ষমতা দখল করেছে, তাই স্বভাবতই হিন্দুরা দ্রুত ব্রিটিশ রাজশক্তির সমীহ অনুগ্রহ আর কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়, তারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তখনকার হিন্দুরা এতই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে যে তারা মুসলমানদেরকে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য দুটি গ্রুপ তৈরি করে, তাদের নাম \'শুদ্ধি\' আর \'সংগঠন\'। এরা এদের কার্যক্রমকে আন্দোলনে রূপ দেয়। শুদ্ধি আন্দোলনের কাজ ছিল ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দুধর্মের পুনর্জাগরণ ঘটানো আর যে সব মুসলিমরা হিন্দুধর্ম থেকে মুসলিম হয়েছে তাদের আবার হিন্দু বানানো।
মেওয়াতে রাজপুত সম্প্রদায় থেকে যারা মুসলিম হয়েছিল তাদের বলা হতো মিওয়ো, শুদ্ধি আন্দোলনকারীরা তাদের অনেককে আবার হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনে, কারণ সেই সব ধর্মান্তরিত মুসলিমদের বদ্ধমূল ইমানী জ্ঞান লাভ হয়নি। অন্যদিকে ইউরোপ থেকে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে খ্রিষ্টান মিশনারী আর পাদ্রিরা। তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান বানানোর জন্য।
সেই সময় মাওলানা ইলিয়াস \'তাহরিকে ইমান\' বা \'ইমানের পথ\' নামে এক আন্দোলন শুরু করে। প্রথমে মেওয়াতে, তার কিছুদিন পর তিনি তার মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনে নিয়ে। আসেন। তার আন্দোলনের স্লোগান ছিল, “অ্যায় মুসলমান, মুসলমান বনো\" অর্থাৎ হে মুসলমানেরা মুসলিম হও। তার সেই দাওয়াতে দ্রুত সাড়া পড়ে যায়। মাত্র ১৫ বছর পর ১৯৪১ সালের নভেম্বরে যে এজতেমা হয় সেখানে যোগ দেয় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। সেই সময় ২৫ হাজার একটা বিরাট সংখ্যা। তখন মাওলানা ইলিয়াসের সেই আন্দোলন ইমান এবং আমল ভিত্তিক প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের আন্দোলনে রূপ নেয়।\'
বই: আসমান
লেখক: লতিফুর রহমান শিবলী
#ishmumsbookcut