হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহ.-এর যুগে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিল। তার স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুশ্রী ও রূপবতী। স্বীয় রূপের ওপর এই মহিলার খুব অহংকার ছিল। একবার সহবাসকালে সে তার স্বামীকে অত্যন্ত অহংকারের সাথে বলল, এমন কোনো পুরুষ নেই যে আমাকে দেখবে অথচ আমাকে পাবার লোভ করবে না। জামী বলল, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, জুনায়েদ বাগদাদী তোমার প্রতি চোখ ভুলেও তাকাবে না। স্ত্রী বলল, আপনি যদি অনুমতি দেন তবে আমি জুনায়েদ বাগদাদীকে পরখ করে দেখতে পারি। এটা কোনো কঠিন বিষয় হলো? এই হলো সওয়ারি আর এই তো তার চারণভূমি। আমিও দেখতে চাই জুনায়েদ বাগদাদী জলের কতটা গভীরে তার অবস্থান! তখন স্বামী অনুমতি দিয়ে দিল।
মহিলাটি পুরো শরীর ঢেকে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহ.-এর দরবারে এসে উপস্থিত হলো। অতঃপর সে একটি মাসআলা জানতে চাওয়ার বাহানায় নিজের চেহারা থেকে নেকাব সরিয়ে নিল। তার চেহারায় দৃষ্টি পড়তেই জুনায়েদ বাগদাদী রহ, উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করলেন। এই নামের উচ্চারণ মহিলার অন্তরে এতটা রেখাপাত করল যে, তার মনের অবস্থা বদলে গেল। মহিলা নিজের ঘরে ফিরে এল এবং সকল অহংকার ছেড়ে দিল এবং তার জীবনের সকাল-সন্ধ্যা বদলে গেল। এরপর থেকে এ মহিলা দিনভর কুরআন তিলাওয়াত, আর সারা রাত নামাযে দাঁড়িয়েই কাটিয়ে দিত। আল্লাহর ভয় আর প্রভুর ভালোবাসায় তার ললাটে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে থাকত। এই মহিলার স্বামী বলত, আমি জুনায়েদ বাগদাদীর কী এমন উপকার করেছি যে, তিনি আমার স্ত্রীকে এমন সাধক বানিয়ে দিলেন। অথচ সে আমার কোনো কাজও অপূর্ণ রাখে না।
বই: এখন যৌবন যার
লেখক: শায়খ যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী
উমেদ প্রকাশ
#ishmumsbookcut
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহ.-এর যুগে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিল। তার স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুশ্রী ও রূপবতী। স্বীয় রূপের ওপর এই মহিলার খুব অহংকার ছিল। একবার সহবাসকালে সে তার স্বামীকে অত্যন্ত অহংকারের সাথে বলল, এমন কোনো পুরুষ নেই যে আমাকে দেখবে অথচ আমাকে পাবার লোভ করবে না। জামী বলল, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, জুনায়েদ বাগদাদী তোমার প্রতি চোখ ভুলেও তাকাবে না। স্ত্রী বলল, আপনি যদি অনুমতি দেন তবে আমি জুনায়েদ বাগদাদীকে পরখ করে দেখতে পারি। এটা কোনো কঠিন বিষয় হলো? এই হলো সওয়ারি আর এই তো তার চারণভূমি। আমিও দেখতে চাই জুনায়েদ বাগদাদী জলের কতটা গভীরে তার অবস্থান! তখন স্বামী অনুমতি দিয়ে দিল।
মহিলাটি পুরো শরীর ঢেকে হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রহ.-এর দরবারে এসে উপস্থিত হলো। অতঃপর সে একটি মাসআলা জানতে চাওয়ার বাহানায় নিজের চেহারা থেকে নেকাব সরিয়ে নিল। তার চেহারায় দৃষ্টি পড়তেই জুনায়েদ বাগদাদী রহ, উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করলেন। এই নামের উচ্চারণ মহিলার অন্তরে এতটা রেখাপাত করল যে, তার মনের অবস্থা বদলে গেল। মহিলা নিজের ঘরে ফিরে এল এবং সকল অহংকার ছেড়ে দিল এবং তার জীবনের সকাল-সন্ধ্যা বদলে গেল। এরপর থেকে এ মহিলা দিনভর কুরআন তিলাওয়াত, আর সারা রাত নামাযে দাঁড়িয়েই কাটিয়ে দিত। আল্লাহর ভয় আর প্রভুর ভালোবাসায় তার ললাটে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে থাকত। এই মহিলার স্বামী বলত, আমি জুনায়েদ বাগদাদীর কী এমন উপকার করেছি যে, তিনি আমার স্ত্রীকে এমন সাধক বানিয়ে দিলেন। অথচ সে আমার কোনো কাজও অপূর্ণ রাখে না।
বই: এখন যৌবন যার
লেখক: শায়খ যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী
উমেদ প্রকাশ
#ishmumsbookcut