Translation is not possible.

“কিনসির কলুষিত চিন্তার প্রভাব পশ্চিমা বিশ্বে সীমিত থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে, আমাদের সমাজেও। আমাদের সমাজের চিকিৎসক ও মনোবিদ থেকে শুরু করে গর্ভপাত ক্লিনিকগুলোর লক্ষ লক্ষ গ্রাহক—‘ভালোবাসা তো কোনো নিয়ম মানে না’, কিংবা ‘সবারই একটা অতীত আছে’ বলে যিনার সাফাই গাওয়া তরুণ ও তরুণী, মানব ও মানবীরা—কিনসির কুৎসিত বিষ আকণ্ঠ পান করেছে সবাই।

.

কিনসির দীক্ষা প্রচারিত হচ্ছে আমাদের স্কুলগুলোতে। কিনসির চিন্তাধারার ভিত্তিতে ষাটের দশকে অ্যামেরিকার দুটি এনজিও; SIECUS এবং প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড (Planned Parenthood), ‘যৌন শিক্ষা’ কারিকুলাম তৈরিতে মনোযোগ দেয়। এই শিক্ষাক্রম প্রথমে অ্যামেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোতে গৃহীত হয়, তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে।

.

বর্তমানে কম্প্রিহেনসিভ সেক্সুয়াল এডুকেশন (CSE) নামে যৌন শিক্ষার যে কারিকুলাম বিশ্বে প্রচার করা হচ্ছে, তা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে SIECUS ও প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড। বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীনে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে যৌন শিক্ষার যে অংশগুলো যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো এসেছে এই CSE থেকে, যার ভিত্তি হলো অ্যালফ্রেড কিনসির কলুষিত চিন্তা।”

.

~ আসিফ আদনান

বই : অবক্ষয়কাল, পৃষ্ঠা : ৫৬

Send as a message
Share on my page
Share in the group