শাবান মাস হলো রামাদানের প্রস্তুতি নেওয়ার মাস। শাবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখা।
.
আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে শাবান মাসের আইয়ামে বীযের নফল তিনটি রোজা। যারা এগুলো রাখতে চান, তারা, আগামীকাল ২৩শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে ২৪শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) প্রথম রোজা রাখবেন। এরপর আরো দুই দিন ধারাবাহিকভাবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ২৪, ২৫ ও ২৬ তারিখ (শনি, রবি ও সোমবার) রোজা রাখতে হবে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি আরবি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন।
.
❖ আইয়ামে বীযের পরিচয়:
.
আইয়ামে বীয অর্থ হলো, উজ্জ্বল ও শুভ্র দিনসমূহ। প্রত্যেক আরবি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের জোছনাময় রাতগুলো বেশ আলোকোজ্জ্বল দেখায়। এজন্য এই দিনগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ‘আইয়ামে বীয’।
.
❖ আইয়ামে বীযের রোজার গুরুত্ব:
.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (নবিজি) আমাকে তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন। সেগুলো হলো: প্রতি মাসে ৩টি রোজা রাখা, দোহার (চাশতের) ২ রাকাত (নফল নামাজ) আদায় করা এবং ঘুমানোর আগে বিতর (নামাজ) পড়া। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৮১]
.
❖ আইয়ামে বীযের রোজার ফজিলত:
.
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখে।” [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭৬২; হাদিসটি সহিহ]
.
তবে, প্রতি মাসের ৩ দিন আইয়ামে বীযের রোজা রাখা জরুরি নয়, বরং এটি নফল আমল।
.
❖ আইয়ামে বীয কোন্ দিনগুলো?
.
আবু যার (রা.)-কে নবিজি বলেছিলেন, ‘‘হে আবু যার! তুমি যদি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতে চাও, তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখ।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭৬১; হাদিসটি হাসান সহিহ]
.
আয়িশা (রা.) বলেন, আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাবান মাস ব্যতীত আর কোনো মাসে এত (নফল) রোজা রাখতে দেখিনি। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৬৯]
.
এর কারণ হিসেবে নবিজি দুটো কথা বলেছেন: (১) শাবান মাসে বান্দার (বাৎসরিক) আমলনামা আল্লাহর নিকট ওঠানো হয় এবং (২) এই মাসে মানুষ ইবাদত থেকে কিছুটা উদাসীন থাকে (কারণ আসন্ন রামাদানে চোখ থাকে)। তাই, নবিজি চাইতেন, মানুষের উদাসীনতার সময়েও তিনি আল্লাহর ইবাদতে কোনো শিথিলতা দেখাবেন না।
.
রাসুলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘রজব ও রামাদানের মাঝে (শাবান) হলো সেই মাস, যেটিতে মানুষ গাফেল থাকে। এটি সেই মাস, যে মাসে রব্বুল আলামিনের কাছে বান্দার আমল ওঠানো হয়। তাই, আমি পছন্দ করি যে, রোজাদার অবস্থায় আমার আমল ওঠানো হোক।’’ [ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ২৩৫৭; হাদিসটি হাসান]
.
শবে বরাতের বিশেষ নামাজ বা রোজার ব্যাপারে যে হাদিস এসেছে, সেটিকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। সুতরাং শবে বরাতের বিশেষ নিয়মের কোনো নামাজ-রোজা নেই। তবুও যদি কারও মন না মানে, তবে এটুকু বলে রাখি যে, আপনি যদি আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখেন, তাহলে দ্বিতীয় দিনের রোজাটি শবে বরাতের দিনেই হচ্ছে। সুতরাং আপনার চাওয়া পূরণ হয়ে যাচ্ছে। তবে, শবে বরাতের নিয়তে রোজাটি রাখবেন না। বরং মাসিক তিনটি নফল রোজার নিয়ত করবেন। তাহলেই যথেষ্ট হবে।
.
#nusus
🕌 Islamic Hour
শাবান মাস হলো রামাদানের প্রস্তুতি নেওয়ার মাস। শাবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, অধিক পরিমাণে নফল রোজা রাখা।
.
আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে শাবান মাসের আইয়ামে বীযের নফল তিনটি রোজা। যারা এগুলো রাখতে চান, তারা, আগামীকাল ২৩শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে ২৪শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) প্রথম রোজা রাখবেন। এরপর আরো দুই দিন ধারাবাহিকভাবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ২৪, ২৫ ও ২৬ তারিখ (শনি, রবি ও সোমবার) রোজা রাখতে হবে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি আরবি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখতেন।
.
❖ আইয়ামে বীযের পরিচয়:
.
আইয়ামে বীয অর্থ হলো, উজ্জ্বল ও শুভ্র দিনসমূহ। প্রত্যেক আরবি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের জোছনাময় রাতগুলো বেশ আলোকোজ্জ্বল দেখায়। এজন্য এই দিনগুলোর নামকরণ করা হয়েছে ‘আইয়ামে বীয’।
.
❖ আইয়ামে বীযের রোজার গুরুত্ব:
.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (নবিজি) আমাকে তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন। সেগুলো হলো: প্রতি মাসে ৩টি রোজা রাখা, দোহার (চাশতের) ২ রাকাত (নফল নামাজ) আদায় করা এবং ঘুমানোর আগে বিতর (নামাজ) পড়া। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৮১]
.
❖ আইয়ামে বীযের রোজার ফজিলত:
.
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখে।” [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭৬২; হাদিসটি সহিহ]
.
তবে, প্রতি মাসের ৩ দিন আইয়ামে বীযের রোজা রাখা জরুরি নয়, বরং এটি নফল আমল।
.
❖ আইয়ামে বীয কোন্ দিনগুলো?
.
আবু যার (রা.)-কে নবিজি বলেছিলেন, ‘‘হে আবু যার! তুমি যদি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতে চাও, তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখ।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭৬১; হাদিসটি হাসান সহিহ]
.
আয়িশা (রা.) বলেন, আমি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাবান মাস ব্যতীত আর কোনো মাসে এত (নফল) রোজা রাখতে দেখিনি। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৬৯]
.
এর কারণ হিসেবে নবিজি দুটো কথা বলেছেন: (১) শাবান মাসে বান্দার (বাৎসরিক) আমলনামা আল্লাহর নিকট ওঠানো হয় এবং (২) এই মাসে মানুষ ইবাদত থেকে কিছুটা উদাসীন থাকে (কারণ আসন্ন রামাদানে চোখ থাকে)। তাই, নবিজি চাইতেন, মানুষের উদাসীনতার সময়েও তিনি আল্লাহর ইবাদতে কোনো শিথিলতা দেখাবেন না।
.
রাসুলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘রজব ও রামাদানের মাঝে (শাবান) হলো সেই মাস, যেটিতে মানুষ গাফেল থাকে। এটি সেই মাস, যে মাসে রব্বুল আলামিনের কাছে বান্দার আমল ওঠানো হয়। তাই, আমি পছন্দ করি যে, রোজাদার অবস্থায় আমার আমল ওঠানো হোক।’’ [ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ২৩৫৭; হাদিসটি হাসান]
.
শবে বরাতের বিশেষ নামাজ বা রোজার ব্যাপারে যে হাদিস এসেছে, সেটিকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। সুতরাং শবে বরাতের বিশেষ নিয়মের কোনো নামাজ-রোজা নেই। তবুও যদি কারও মন না মানে, তবে এটুকু বলে রাখি যে, আপনি যদি আইয়ামে বীজের তিনটি রোজা রাখেন, তাহলে দ্বিতীয় দিনের রোজাটি শবে বরাতের দিনেই হচ্ছে। সুতরাং আপনার চাওয়া পূরণ হয়ে যাচ্ছে। তবে, শবে বরাতের নিয়তে রোজাটি রাখবেন না। বরং মাসিক তিনটি নফল রোজার নিয়ত করবেন। তাহলেই যথেষ্ট হবে।
.
🕌 Islamic Hour