Translation is not possible.
ইসলামপন্থীদের মধ্যে দুটি ভাগ।
একটি গণতন্ত্রপন্থী আর অপরটি খেলাফতপন্থী।
এই দুটি কিছুতেই যেন এক হয়েও এক হচ্ছে না।
তবে একটা সময় ইসলামীপন্থীদের বৃহৎ একটি অংশ গণতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে ছিল, আলহামদুলিল্লাহ কালের পরিক্রমায় তা কমে এসেছে, এখন অধিকাংশ ইসলামপন্থী চায় খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
খেলাফতপন্থীদের কিছু অংশ গণতান্ত্রিক ইসলামীস্টদের সাথে মিশেছে দ্বীনের খাতিরে। তাদের উপর আঘাত আসা মানে নিজেদের উপর আঘাত আসা। তাদেরকে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হারাম জেনেই শুধু মাত্র জারুরত হিসেবে এটিকে জাস্ট ব্যবহার করে ইসলামীক স্বার্থ হাসিল করা।
কিন্তু অপরদিকে গণতান্ত্রিক ইসলামীস্টরা এরা গণতন্ত্রকে আদর্শিকভাবে গ্রহণ করেছে। যার দরুন আজ তাদের পরিণতি। ওল্লাহি গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা কস্মিনকালেও সম্ভব না। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।
তাদের একটা বক্তব্য খেলাফত কীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে? খেলাফত প্রতিষ্ঠা করেন না কেন?
সত্যিই কি মুখ দিয়ে বললেই খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে? খেলাফত প্রতিষ্ঠায় আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে। একটু ইনসাফের নজরে তাকালেই দেখা যাবে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এসব নিয়ে প্রকাশ্যেই কাজ করে যাচ্ছে, আমাদের উচিত হবে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া।
আমরা জানি, সুপার পাওয়ার হতে হলে চারটি জিনিস প্রয়োজন, ১. বাইতুল মাল, ২. শক্তি, ৩. মিডিয়া, ৪, সমর্থন। যার কোনোটিই আমাদের নেই। হ্যাঁ আমাদের ঈমান ও ইখলাস ঠিক থাকলে এ সবকিছুই ছাপিয়ে যেত, কিন্তু কোনটা আছে আমাদের? আছে শুধু মুনাফিকতা। তবুও অনেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন...
আল্লাহু সুবাহানাল্লাহু তা'য়ালা ফলাফল দেখেন না, দেখেন চেষ্টা। আমরা কতদূর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এর উপর বিবেচনা করেই সফলতা দান করেন...
আবারও বিনয়ের সাথে বলতে চাই, আমাদের কর্মপন্থা, মাসলাক ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু যেদিন ইসলামপন্থীরা আদর্শিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে, ঠিক সেইদিনই আল্লাহুর এই যমীনে আল্লাহুর দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে।
#আমার_দ্বীন_আমার_যমীন
#আমার_দ্বীন #আমার_যমীন
Send as a message
Share on my page
Share in the group